ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ও ক্রসফিলিং করে গ্যাস বিক্রি: দুর্ঘটনার আশঙ্কা

চকরিয়া অফিস:

চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন দোকান ও বাজারে যত্রতত্র মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডারে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ি অধিক মুনাফা লাভের আশায় ক্রসফিলিংয়ের মতো ঝুঁকিপূর্নভাবে গ্যাস বিক্রি করে যাচ্ছেন। এতে যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে গতকাল ২৯ নভেম্বর সকাল দশটায় চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে শাহীনের সিলিন্ডার গ্যাসের দোকানে ক্রসফিলিং করে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করছেন। ওইসময় বিন হাবিব বিডি লি: এর গ্যাস কোম্পানির প্রতিনিধি শাহাদত হোছন পরিদর্শনে গেলে ক্রসফিলিং করে গ্যাস বিক্রি হাতেনাতে ধরে ফেলে। প্রতারণা করে গ্যাস বিক্রি বিষয়টি জানতে চাইলে দোকান মালিক শাহীন ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর চড়াও হন। একপর্যায়ে হামলার চেষ্ঠা করে ওই ব্যবসায়ি।

বিন হাবিব বিডি লি: এর চকরিয়ার সেলস অফিসার মো:শাহাদত হোছন জানান, তাদের কোম্পানির সিলিন্ডার গ্যাস বাজারে ভালো চাহিদা রয়েছে। মান সম্মত ও পরিমাণ ঠিক রেখে এ কোম্পানির গ্যাস বিক্রি করে থাকে। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ৪৫ কেজির বড় সিলিন্ডার এনে ছোট সিলিন্ডারে ১০ কেজি গ্যাস ঢুকানো হচ্ছে। ১২-১৩ কেজির স্থলে ২-৩ কেজি গ্যাস কম দিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। এতে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে। সিলিন্ডারে কম গ্যাস দেওয়ায় বদনাম হচ্ছে কোম্পানির। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িরা নিয়ম বর্হিভূত ও ঝুঁকিপূর্নভাবে বোতলে গ্যাস ঢুকানো হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ন গ্যাস ঢুকানোর কারণে বড় ধরণের দূর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনার কথা তিনি জানান। প্রতারণা ও হামলার চেষ্ঠার ঘটনায় গ্যাস ব্যবসায়ি মো: শাহীনকে আসামী করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অপরদিকে চাহিদা শহরের চেয়েও গ্রামে চাহিদা বাড়ছে সিলিন্ডার গ্যাসের। বাসা বাড়ি ছাড়াও খাবার হোটেল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মেস গুলোতে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার হচ্ছে। চাহিদা বাড়ারে কারণে ব্যবসায়িরা অভিনব প্রতারণা শুরু করেছে। সচেতন মহল জানান, অধিকাংশ গ্যাস সিলিন্ডারই মানসম্মত নয়। বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিলিন্ডার ব্যবহৃত হলেও স্থানীয়ভাবে নিম্মমানের সিলিন্ডারও ব্যবহার হচ্ছে।

এছাড়াও চকরিয়া পৌরশহর, উপজেলার চিরিঙ্গা, বদরখালী, কোনাখালী, পশ্চিমবড়ভেওলা, ঢেমুশিয়া. পূর্ববড়ভেওলা, সাহারবিল, বিএমচর, বরইতলী, হারবাং, কৈয়ারবিল, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি খুটাখালী, ডুলাহাজারা ও ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে তিন শতাধিক দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসা চলছে। শুধু তাই নয়, মুদি দোকান, চায়ের দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান ও স্টেশনারি দোকানেও খোলামেলাভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানের সামনে রাস্তা দখল করে রাখা হয়েছে এসব সিলিন্ডার। ঝুঁকিপূর্ণ এসব সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির জন্য বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স গ্রহণের পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখার বিধান থাকলেও ব্যবসায়ীরা এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না।

চকরিয়া উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুউদ্দিন মো: শিবলী নোমান বলেন, অবৈধভাবে অনেক গ্যাসের দোকান রয়েছে। অনেকের লাইসেন্সও নেই। দ্রুত সময়ে অবৈধ গ্যাসের দোকানে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান। ##

পাঠকের মতামত: